Press Release:

Urge implementation of tobacco control laws and guidelines in local government institutions.

 

It is necessary to effectively implement the existing Tobacco Control Act and the ‘Guidelines for the Implementation of Tobacco Control Activities of Local Government Institutions’ prepared by the Local Government Department to reduce the availability of tobacco products, including banning the sale of tobacco to children and teenagers, prohibiting the establishment of tobacco shops within 100 meters of educational institutions. In particular, the guidelines for local government institutions will help ensure the accountability of tobacco product sellers in complying with the law. On October 26, 2022, in the meeting room of the Ministry of Health and Family Welfare, the negotiators expressed this opinion in the discussion meeting on the topic of ‘implementation of tobacco control law including guidelines for the implementation of tobacco control activities of local government institutions to build a tobacco-free Bangladesh in the light of the announcement of the Honourable Prime Minister

National Tobacco Control Cell, Aid Foundation, and Association for the Prevention of Drug Abuse (MANAS) organized the meeting. Under the chairmanship of Additional Secretary of Health Services Department (Global Health) Kazi Zebunnesa Begum, Coordinator of National Tobacco Control Cell (Additional Secretary) Hossain Ali Khondkar, Additional Secretary of Health Services Department Nilufar Nazneen, founding president of MANAS, Freedom Fighter Professor Dr. Arupratan Chowdhury, Joint Secretary of Local Government Department. Jasim Uddin and others.

বাংলা:

সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
মতবিনিময় সভায় অভিমত
স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও নির্দেশিকা বাস্তবায়নের তাগিদ

শিশু-কিশোরদের নিকট তামাক বিক্রয় বন্ধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকের দোকান স্থাপন নিষিদ্ধ বিষয়ক বিধানসহ তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা কমানোর জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ প্রণীত ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’ এবং বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। বিশেষত, স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রণীত নির্দেশিকাটি আইন প্রতিপালনে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রেতাদের দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখবে। আজ (২৬ অক্টোবর ২০২২) স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন নির্দেশিকা’সহ তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন’ বিষয়ক মতবিনিময় সভায় আলোচকরা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।

জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, এইড ফাউন্ডেশন এবং মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস) এ সভা আয়োজন করে। স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বস্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম এর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল’র সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খোন্দকার, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নিলুফার নাজনীন, মানস’র প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. জসিম উদ্দিন প্রমুখ।

>মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার আলোকে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্রিয় ভূমিকা রাখা এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের জন্য তামাক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা প্রণয়ন করায় স্থানীয় সরকার বিভাগ-কে ধন্যবাদ জানান সভাপতি কাজী জেবুন্নেছা বেগম। তিনি বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকাটি বাস্তবায়নে যে মনিটরিং কমিটি রয়েছে, সেটি কার্যকর করা প্রয়োজন। তামাক নিয়ন্ত্রণে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদেরকে আরো এগিয়ে আসা উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

হোসেন আলী খোন্দকার বলেন, যে কোন ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে লাইসেন্স গ্রহণ বাধ্যতামূলক। তামাক নিষিদ্ধ দ্রব্য নয়, তাই এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে ‘লাইসেন্স’ এর আওতায় আনতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নির্দেশিকা প্রণয়ন একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইউনিয়ন, পৌরসভা এবং সিটি কর্পোরেশনের দায়িত্ব হচ্ছে এর কার্যকর বাস্তবায়নে কাজ করা। এটি বাস্তবায়িত হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের কাছে তামাক বিক্রেতাদের ডাটাবেজ থাকবে যার মাধ্যমে বিভিন্ন নির্দেশনা প্রদান করা যাবে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী বলেন, তামাকের সাথে মাদকের যোগসূত্র রয়েছে। এজন্য ‘মানস’ প্রায় ৩৫ বছর যাবৎ তামাক ও মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করে চলেছে। গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্রে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে কাজ করছে। তামাক ও মাদক বিরোধী সচেতনতা সৃষ্টিতে মানস ‘স্বর্গ থেকে নরক’ নামে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং বিভিন্ন তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছে। অপ্রাপ্ত বয়স্কদের কাছে তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে আরো কঠোরতা অবলম্বন করা উচিৎ বলে তিনি জানান।

মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে স্থানীয় সরকার বিভাগ স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। এ নির্দেশিকা সকল স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হবে। এতে তামাকের বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ফি-এর মাধ্যমে লাইসেন্স গ্রহণ করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। এ বিষয়টি স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের রাজস্ব বাড়াতে ভূমিকা রাখবে। নিলুফার নাজনীন বলেন, তামাক নিয়ন্ত্রণে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রাণলয়কে কাজে লাগাতে হবে।

সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল ও গুরুত্বপূর্ণ সেবাদান প্রতিষ্ঠানের ১০০ মিটারের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের সহজলভ্যতা কমাতে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের তামাক নিয়ন্ত্রণ নির্দেশিকাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তামাকজাত দ্রব্য বিক্রয়ে লাইসেন্সিং ব্যবস্থা প্রবর্তন করা এ নির্দেশিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর মাধ্যমে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রতিপালনে দায়বদ্ধতা নিশ্চিত হবে। আইনের পাশাপাশি উক্ত নির্দেশিকাটি কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করা হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ ২০৪০ সালের আগেই গড়ে তোলা সম্ভব।

মুক্ত আলোচনায় বক্তব্য রাখেন জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিউট এর পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. ইসরাত হোসেন খান, দি ইউনিয়নের কারিগরী পরামর্শক এড. সৈয়দ মাহবুবুল আলম ও কনসালটেন্ট মো. ফাহিমুল ইসলাম, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠন’র সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, নাটাব এর প্রোজেক্ট কোর্ডিনেটর একেএম খলিল উল্লাহ, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার অদূত রহমান ইমন, গ্রামবাংলা উন্নয়ন কমিটি’র এ বি কে রেজা প্রমূখ।
সভায় জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ-স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা-বাংলাদেশ, গাজীপুর ও নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন, সাভার পৌরসভা, মিউনিসিপাল এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ ও ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি ও স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আন্তরিক ধন্যবাদসহ,

মো. আবু রায়হান
প্রকল্প কর্মকর্তা, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস), ০১৯৭৭-৫৪১৮৭১

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *