বাড়ছে ডেঙ্গু, জানতে হবে প্রতিরোধের উপায়
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী
(একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)
বর্তমানে স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যা মোকাবেলা করছে সিলেটবাসী। এ বন্যায় নগরী ও জেলার ৮০ ভাগ এলাকা প্লাবিত হয়। এতে মানবিক বিপর্যয় দেখা দেয়। বন্যায় অনেক মানুষের প্রাণহানি ঘটেছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি, গবাদিপশু-হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল ভেসে গেছে বানের পানিতে। ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
সম্প্রতি, আমি সিলেটের বন্যাকবলিত কিছু এলাকা সরোজমিন পরিদর্শন করি। প্লাবিত এলাকাগুলো থেকে পানি কমলেও নগরের বাইরের বেশিরভাগ এলাকা এখনো জলমগ্ন হয়ে আছে। দীর্ঘ সময় ধরে পানিবন্দি থাকা মানুষের দুর্ভোগ সীমা ছাড়িয়েছে। সিলেটের বিশ^নাথ এলাকায় বানভাসি মানুষের কষ্ট লাঘবে সাধ্যমতো ত্রাণ বিতরণ করি। এই ভয়াবহ বন্যায় মানুষের রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব বাড়ছে। বন্যার ফলে পানিবাহিত রোগের পাশাপাশি সবচাইতে বাড়ছে ডেঙ্গু প্রকোপ। আমাদের সংগঠন মানস এর উদ্যোগে এবং ম্যাটস এর সহায়তায় সিলেট মহানগরের যতরপুর এলাকায় ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে শতাধিক লোকের চিকিৎসা এবং বিনার্মূল্যে ওষধ বিতরণ করা হয়।
কোভিড-১৯ মহামারীর এই দু:সময়ে দেশে বন্যায় বাড়ছে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ। বাড়ছে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। যা মরার উপর খাঁড়ার ঘা। গত কয়েক সপ্তাহে সারা দেশে ডেঙ্গু (Dengue) আক্রান্তের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও অনিয়মিত বর্ষা, কিছু কিছু এলাকায় বন্যা, ঋতু পরিবর্তন এবং জলবায়ুর নেতিবাচক পরিবর্তন এর প্রধান কারণ। কিছু ক্ষেত্রে ডেঙ্গুর ভ্যারিয়েশনের কারণে সংক্রমণ গুরুতর হয়ে উঠছে। সুতরাং ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের সচেতনতা জরুরি।
ডেঙ্গু একটি এডিস মশাবাহিত ভাইরাস রোগ, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ডেঙ্গু ভাইরাসের প্রধান বাহক এডিস ইজিপ্টাই (Aedes Aegypti) প্রজাতির মহিলা মশা (Mosquito) । এই মশা চিকুনগুনিয়া, ইয়েলো ফিভার এবং জিকা ভাইরাসের ভেক্টর। ডেঙ্গু একটি গ্রীষ্মকলীয় রোগ। বৃষ্টিপাত, তাপমাত্রা, আপেক্ষিক আদ্রতা এবং দ্রুত বর্ধনশীল অপরিকল্পিত নগরায়ণের ফলে এই রোগের বৃদ্ধি ঘটে। ২০২২ সালের জানুয়ারি থেকে মে মাস পর্যন্ত সারা দেশে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছিলো ৩৫২ জন। জুন মাসে এই হার ছিলো উর্ধ্বমুখী। জুনের ২৮ দিনেই ডেঙ্গুতে আক্রান্তের সংখ্যা গিয়ে দাঁড়ায় ৬৬৪ জনে। চলতি মাসে ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সারা বিশ্বে ডেঙ্গুর প্রকোপ আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই ডেঙ্গু রোগের উপসর্গহীন বা হালকা উপসর্গ থাকছে। অন্যান্য জ্বরজনিত অসুস্থতার সঙ্গে ডেঙ্গু রোগকে গুলিয়ে ফেলা হয় বিধায়, এই রোগের প্রকৃত সংখ্যা কম প্রকাশ পায়। বিশে^ প্রতিবছর আনুমানিক ৩৯০ মিলিয়ন ডেঙ্গুর সংক্রমণ হয়। যার মধ্যে মাত্র ৯৬ মিলিয়ন ক্লিনিক্যালি প্রকাশ পায়। ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে আরেকটি গবেষনায় অনুমান করা হয়েছে যে, ৩৯০ মিলিয়ন মানুষ ডেঙ্গু ভাইরাসের সংক্রমণের ঝুঁকিতে রয়েছেন। বিশ্বের ১২৯টি দেশে সংক্রমণের এই ঝুঁকি রয়েছে। যার মধ্যে ৭০ শতাংশ এশিয়ায়। বিগত দুই দশকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ৮ গুণ!
ডেঙ্গু রোগের বিস্তৃতি খুব দ্রুত ঘটে। অনেক সময় মানুষ জানতেই পারে না যে সে সংক্রমিত। ডেঙ্গুর ভাইরাসটি সংক্রমিত স্ত্রী (এডিস ইজিপ্টাই) এর কামড়ের মাধ্যমে মানুষের শরীরে আসে। স্ত্রী মশা ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর রক্তপান করে নিজে সংক্রমিত হয় ও ভাইরাস বহন করে। প্রায় ৮-১০ দিন পর ভাইরাস মশার দেহের অন্যান্য কোষে ছড়িয়ে পড়ে, যার মধ্যে আছে মশার লালাগ্রন্থি ও সেকেন্ডারি টিস্যু। ডেঙ্গু ভাইরাসের ইনকিউবেশন পিরিয়ড অর্থাৎ মশার কামড় থেকে শরীরে সংক্রমণ হওয়ার মধ্যবর্তী সময় কাল ৪-১০ দিন। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়স এবং আগের অসুস্থতার উপর নির্ভর করে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ডেঙ্গু জ্বরের সঙ্গে এখন ভাইরাসের বর্তমান এডিস ইজিপ্টাই (উঊঘঠ-২) স্ট্রেনের তীব্রতা জড়িত। তাই ডেঙ্গুর উপসর্গগুলো সম্পর্কে সঠিকভাবে জানা পর্যবেক্ষণ করা রোগ নির্ণয়ে সাহায্য করে। ডেঙ্গু সংক্রমণের সর্বাধিক সাধারণ প্রাথমিক উপসর্গগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১০৩ ডিগ্রি ফারেনহাইটের বেশি জ্বর, শরীরে ব্যথা, ঠান্ডা-সর্দি, শরীরে দুর্বলতা, ক্লান্তি, জয়েন্ট ও হাড়ের ব্যথা, পেটে ব্যথা, চোখে লালভাব, ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাব ও বমি। তাছাড়া ডেঙ্গু সংক্রমিত ব্যক্তিদের মধ্যে ফ্লুর মতো গুরুতর উপসর্গ দেখা দিতে পারে। অনেকে আবার মারাত্মক ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হতে পারেন। যার কারণে রক্তপাত, অঙ্গ দুর্বলতা অথবা প্লাজমা লিকেজ হতে পারে। সঠিকভাবে চিকিৎসা না হলে ডেঙ্গুতে মৃত্যু ঝুঁকি থাকে।
ডেঙ্গু আক্রান্ত হলে ডাক্তারি পরামর্শ মেনে সবার আগে ওষুধ সেবন করতে হবে। জ্বর হলে অনেকেই প্যারাসিটামল খেয়ে ফেলেন যা সমস্যা বাড়াতে পারে। তাই সবার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলুন। রোগের সময়টাতে খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন আনতে হবে যাতে আপনি দ্রুত সুস্থ হতে পারেন। যেমন: ডাবের পানি, বিভিন্ন ফলের জুস, লেবুর শরবত প্রচুর পরিমাণে খেতে হবে। সাথে পুষ্টিগুণ সম্পন্ন খাবার গ্রহণ করবেন যা শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে থাকে। এর পাশপাশি প্রচুর বিশ্রাম নিন। ওষুধ খেয়ে জ্বর কমলেই অনেকে সব কাজ শুরু করে দেন। এমন ভুল করবেন না। এই রোগ আক্রান্ত হলে সবার আগে প্রচুর বিশ্রামের প্রয়োজন। তা না হলে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।
ডেঙ্গুর টিকা এখনও পর্যন্ত সহজলভ্য নয়। সুতরাং, ডেঙ্গুর সংক্রমণ প্রতিরোধ অনেক কষ্টসাধ্য এবং ঝুঁকি কম নয়। আবার, ডেঙ্গু মশা ঠিক কি রকম হয়? তা চেনা চেনা মুশকিল। তবে, কোন সময়ে এই মশা বেশি কামড়ায় এগুলো জানতে হবে। সাধারণ মশার কামড় এবং ডেঙ্গু মশার কামড়ের মধ্যে পার্থক্য করা অবিশ্বাস্যভাবে কঠিন হতে পারে। তবুও কয়েকটি বিষয় জানতে হবে। তাতে অন্তত এটা বোঝা যাবে যে, কিভাবে ডেঙ্গু সংক্রমণ ছড়াতে শুরু করে এবং এর ঝুঁকি এড়াতে কি ধরনের প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।
মশা দিনের বেলায় সব চেয়ে বেশি সক্রিয় থাকে, সূর্যোদয়ের প্রায় ২ ঘন্টা পরে এবং সূর্যাস্তের কয়েক ঘন্টা আগে। যদিও, এডিস ইজিপ্টাই মশা সূর্যাস্তের পরেও মানুষকে কামড়াতে পারে। ডিম পাড়ার সময় এডিস মশা একাধিকবার কামড়াতে পারে। ডেঙ্গু সংক্রমিত মশা শরীরের বিভিন্ন অংশ, যেমন: পায়ের গোড়ালি, কনুইয়ের চারপাশে কমড়ায়। তবে মনে রাখা উচিত যে, মশার একটি কামড়ই একজন ব্যক্তিকে সংক্রমিত করতে এবং উপসর্গ ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। সকাল ও বিকেলে ডেঙ্গু সংক্রমণের সম্ভাবনা সব চেয়ে বেশি।
প্রতিটি মশার কামড়ে ডেঙ্গু হতে পারে, আবার না-ও হতে পারে। ডেঙ্গু সংক্রমণ বিশেষত এডিস ইজিপ্টাই মশার কামড়ে ছড়িয়ে পড়ে। শুধুমাত্র মহিলা এডিস মশাই ডেঙ্গু ভাইরাস বহন করে। এই মশা বেশিরভাগ গ্রীষ্মমন্ডলীয় জলবায়ুতে বৃদ্ধি পায় এবং শীতকালে বাঁচে না। ডেঙ্গু সৃষ্টিকারী ভাইরাসের সংক্রমণের একটি সম্ভাব্য চিহ্ন হল শরীরের নিচের দিকে এবং পায়ে গাঢ় এবং সাদা রঙের দাগ হতে পারে। এর পর মানুষকে কামড়ে সংক্রমণ ছড়ায়। মশার কামড় সনাক্ত করা বা কামড়ের পার্থক্য করা কঠিন কাজ। ডেঙ্গুর মতো মৌসুমি সংক্রমণ এড়াতে প্রতিরোধই হল সব চেয়ে ভালো উপায়। ডেঙ্গু সংক্রমিত মশা কাউকে কামড়ালে শরীরের উক্ত স্থানটি স^াভাবিক মশার কামড়ের চেয়ে বেশি লাল হয়ে যাবে এবং চুলকানি হতে পারে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিতে হবে?
ডেঙ্গু প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থার মাধ্যমে নির্মূল করা যায়। প্রধানত: মে থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই ৫ মাস ডেঙ্গু মশার বংশ বিস্তারের মৌসুম। ডেঙ্গু প্রতিরোধে এডিস মশার বংশ বিস্তার রোধ এ রোগ প্রতিরোধের উত্তম পন্থা। পাশাপাশি যতক্ষণ পর্যন্ত ভালো স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করা হয় ততক্ষণ পর্যন্ত এটি সম্পূর্ণরুপে এড়ানো যায়। যেমন: ঘরের দরজা ও জানালার পর্দা, প্রতিষেধক, কীটনাশক সামগ্রী, কয়েলের ব্যবহার ডেঙ্গু ঠেকিয়ে রাখতে পারে। ত্বকের সংস্পর্শে যাতে মশা কম আসতে পারে এমন পোশাক পরতে হবে। ডেঙ্গু প্রাদুর্ভাবের সময়ে স্প্রে হিসাবে কীটনাশক প্রয়োগ করা যেতে পারে। মশা ডিম পাড়তে পারে এমন জায়গায় নিয়মিত নজরদারি চালাতে হবে। মশার বংশবিস্তার নিয়ন্ত্রণে নতুন নতুন সরঞ্জাম এবং উদ্ভাবনী কৌশলের ব্যবহার করতে হবে। একই সাথে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি সম্পর্কে বিভিন্ন সম্প্রদায়কে শিক্ষিত করা, সচেতনতা সৃষ্টির বিকল্প নেই। স্বাস্থ্য ও অন্যান্য বিভাগসমূহের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা (সরকারি ও বেসরকারি) এই প্রসঙ্গে একান্ত কাম্য।
ডেঙ্গু ছাড়াও মশার মাধ্যমে সংক্রমিত হতে পারে চিকুনগুনিয়া, ম্যালেরিয়া, ফাইলেরিয়া, জিকা ভাইরাসের মতো মারাত্মক রোগ। মশা মারতে স্প্রে, কয়েল, অ্যারোসল ব্যবহার করেও উপদ্রব থেকে রক্ষা পাওয়া তো যায়ই না উল্টো স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয় মারাত্মকভাবে।
ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশা থেকে দুরে থাকতে ৫টি সহজ প্রাকৃতিক উপায়:
১) লেবু ও লবঙ্গ: লেবু গোল করে কেটে কয়েকটি লবঙ্গের মাথার দিকের অংশ বাইরের দিকে রেখে গেঁথে একটি প্লেটে ঘরের কোণায় রেখে দিন। জানালার গ্রিলেও রাখতে পারেন। এতে মশা ঘরেই ঢুকবে না। ২) কর্পূর: মশা কর্পূরের গন্ধ সহ্য করতে পারে না। তাই মশার উপদ্রব থেকে বাঁচতে কর্পূর ব্যবহার করতে পারেন। ফার্মেসিতে কর্পূরের ট্যাবলেট পাওয়া যায়। একটি ৫০ গ্রামের কর্পূরের ট্যাবলেট একটি ছোট পানিপূর্ণ বাটিতে ঘরের কোণে রেখে দিন। তবে, দুই দিন পরে পানি পরিবর্তন করে দিতে হবে। ৩) নিমের তেল: সাধারণত নিমের তেল ত্বকের জন্য বেশ উপকারি। এছাড়া এটি মশা তাড়াতেও ভূমিকা রাখে। তাই এক সাথে দুটি উপকার পেতে ব্যবহার করতে পারেন নিমের তেল। সমপরিমাণ নিমের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে ত্বকে লাগিয়ে নিন। এর ফলে মশা কাছে আসবে না এবং ত্বকের অ্যালার্জি, ইনফেকশন জনিত নানান সমস্যাও দূর হবে। ৪) লেমন গ্রাস: থাই লেমন গ্রাসের যে সুগন্ধ বের হয় তা বেশ শক্তিশালী। এর মধ্যে থাকা সাইট্রোনেলা অয়েলের সুগন্ধ মশাদের যম। যদি আপনার আশেপাশে লেমন গ্রাসের ঝাঁড় থাকে তাহলে আপনি মোটামোটি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে মশারা আপনাকে বিরক্ত করবে না। আর লেমন গ্রাস ঘরের সৌন্দয্য বৃদ্ধি করতে পারে। ৫) পুদিনা পাতা: পুদিনা পাতার রয়েছে মশা দূরে রাখার ক্ষমতা। শুধু মশাই নয়, পুদিনার গন্ধ অনেক ধরণের পোঁকামাকড়কে ঘর থেকে দূরে রাখে। পুদিনা পাতা ছেঁচে নিয়ে পানিতে ফুটিয়ে নিয়ে সেই পানির ভাপ পুরো ঘরে ছড়িয়ে দিন। এতে মশা পালাবে।
যেহেতু আমাদের চারপাশে ডেঙ্গু আতঙ্ক বাড়ছে, তাই এই সময় আমাদের সচেতন থাকা খুবই প্রয়োজন। সচেতনতাই ডেঙ্গু প্রতিরোধের প্রধান উপায়। মশার বংশবৃদ্ধির অনুকূল পরিবেশ নষ্ট করা, মশার কামড় থেকে বাঁচতে সচেতন থাকার মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
__________________________________________________________
লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী,
একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)
সদস্য, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন বোর্ড (স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়) এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটি (স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়)
সাম্মানিক জেষ্ঠ উপদেষ্টা, ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টাল সার্জারী, বারডেম ও অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ
ইমেইল: [email protected]