মুক্তিযুদ্ধের স্মারক চিহ্ন হিসেবে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’ সংরক্ষণ জরুরী

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী
(একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)

 

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মূল ভবনে ড. অরূপরতন চৌধুরী (৫৭/৮ বালীগঞ্জ সার্কুলার রোড, কলকাতা) স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালে পাক সরকারের দখলকৃত এলাকার ৬টা বেতার কেন্দ্র থেকে অবিরাম প্রচন্ডভাবে মুক্তিযোদ্ধা ও বাঙালি জাতির বিরুদ্ধে ভয়াবহভাবে মিথ্যাচার এবং অপপ্রচার চালানো হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জবাব দেওয়া হয়েছে একমাত্র স্বাধীন  বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চে রাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাংলার মানুষের উপর নারকীয় হত্যাকান্ড ও ধবংসযজ্ঞ  চালায়। খুনিদের হাত থেকে রক্ষার জন্য অসংখ্য মানুষ দেশ ত্যাগ করে প্রতিবেশী রাষ্ট্র ভারতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহন করে । সেই সাথে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শুভ সূচনা হয়েছিল মুজিবনগরে পঞ্চাশ কিলোওয়াট মাধ্যম তরঙ্গ শক্তি সম্পন্ন  ২৫শে মে , ১৯৭১। প্রথম থেকেই উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে শুরু হয়েছিল এই বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান প্রচার। প্রতিদিন  সকাল ৭টা ও সন্ধ্যা ৭টা এ দুই অধিবেশনে শুরু  হয়েছিল অনুষ্ঠান। তবে তারও আগের ইতিহাস হচ্ছে , চট্টগ্রাম বেতারের কালুরঘাট  ট্রান্সমিটারে বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে সংগঠিত হয়েছিল চট্টগ্রাম বেতারের দশজন নিবেদিত কর্মী স্থানীয় নেতৃবৃন্দ, জনগণ এর সহযোগীতায়। তবে বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রের দশজন যাদের নাম স্মরন করতেই হবে এবং যারা সার্বক্ষনিক সংগঠক ছিলেন সর্বজনাব বেলাল মোহাম্মদ, সৈয়দ আবদুস শাকের , আবদুল্লাহ আল ফারুক , মোস্তফা আনোয়ার ,রাশেদুল হোসেন , আমিনুর রহমান, শারফুজ্জামান এবং কাজী হাবিবুদ্দিন। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের জনাব শামসুল হুদা চৌধুরীর  গ্রন্থে এসবেরই উল্লেখ আছে। বিপ্লবী স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের উদ্যোক্তা ছিলেন বেলাল মোহাম্মদ। এই বেতার কেন্দ্রের প্রথম অধিবেশন সংগঠনের অন্যান্য উদ্যোক্তা ছিলেন আবুল কাশেম সন্দ্বীপ, স্থানীয় বিশিষ্ট চিকিৎসক ডাক্তার মনজুলা আনোয়ার, ডাক্তার সৈয়দ আনোয়ার আলী, ইঞ্জিনিয়ার আশিকুল ইসলাম, দিলীপ চন্দ্র দাশ এবং কাজী হোসেন আরা প্রমুখ। দুই দিন পর এই বেতার কেন্দ্রের নাম থেকে বিপ্লবী কথাটি বাদ দেয়া হয়েছিল। ১৭ই এপ্রিল ‘৭১ কুষ্টিয়ার বৈদ্যনাথতলায় অস্থায়ী সরকার অনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশের পর মুক্তিযুদ্ধের প্রচার জোরদার করার উদ্দেশ্য স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রকে নতুন করে সংগঠনের দায়িত্ব অর্পিত হ‘ল জনাব আব্দুল মান্নান (এম.এন.এ) এর ওপর। পরবর্তীতে কোলকাতার ৫৭/৮, বালিগঞ্জ র্সাকুলার রোডে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের কাজ চলত ছোট্ট একটা দ্বিতল বাড়ীতে। চরমপত্র (বিশেষ ব্যঙ্গ রচনা), অগ্নিশিখা (মুক্তিবাহিনীর জন্য অনুষ্ঠান), জাগরনী (উদ্দীপনামূলক গানের অনুষ্ঠান) এবং ইংরেজী ও বাংলা খবর ইত্যাদি দিয়েই শুরু হয়েছিল মুজিবনগরে স্বাধীন  বাংলা বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান। চরমপত্র লিখতেন এবং পড়তেন জনাব এম. আর. আখতার। অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা করেছিলেন জনাব আব্দুল মান্নান (ভারপ্রাপ্ত এম.এন.এ)। অগ্নিশিখা  মুক্তিবাহিনীর জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের পরিকল্পনা, প্রযোজনা এবং নামকরণ করেন জনাব টি. এইচ. শিকদার।

অনুষ্ঠানে বানীবদ্ধ করার জন্য ষ্টুডিও ছিল মাত্র একটি। পরে আরো একটি কক্ষ খালি করে অনুষ্ঠান রেকর্ডিং এর ব্যবস্থা হয়েছিল। তবে এগুলিতে পেশাগত ষ্টুডিওর ন্যায় কোনও শব্দ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা ছিল না, ছিলনা প্রয়োজনীয় বাদ্যযন্ত্র ও যন্ত্রী।  কিন্তু সৃষ্টি হয়েছিল কালজয়ী কিছু গান যেমন: “পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে, রক্ত লাল”, “রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি , বাংলাদেশের নাম”, “মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি”, “নোঙ্গর তোল তোল”, “সোনায় মোড়ানো বাংলা মোদের”, “এক সাগর রক্তের বিনিময়ে” ইত্যাদি আরও অনেক গান। দ্বিতল বাড়ীর নীচ তলায় ছিল আমাদের রান্না ঘর ,ওখানেই আমরা খেতাম। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত গানের রিহারর্সেল এবং রেকডিং এর কাজ শেষ করে ঐ বাড়ীর দোতলায় ষ্টুডিওর পাশের রুমে খোলা মেঝেতেই চাদর পেতে শুয়ে পড়তাম আমরা।

তখন আমি  যুবক। ঢাকা ডেন্টাল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র। মাত্র ১৮ বছর বয়সের তরুন। এই বয়সে নিপীড়ন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়াটাই স্বাভাবিক। ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ই মার্চের ভাষণে আমি মুক্তিযুদ্ধে যাবার জন্য অস্থির হয়ে পড়ি। ঘরে বসে থাকতে পারিনি। যোগাযোগ করতে থাকি বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জনের সাথে। আমি ঢাকা থেকে জুন মাসেই ঘর থেকে বের হয়ে আরিচা  দাউদকান্দি ইত্যাদি স্থান যখন পাক  আর্মি, মিলিশিয়া ও রাজাকার, আলবদরদের একটি রণক্ষেত্র সেই মহূর্তে সৃষ্টিকর্তার আর্শীবাদে সকল বাধা পার হয়ে  ভারতের আগরতলা পৌছাই। সেখানে গিয়েই মুক্তিযুদ্ধে অংশ গ্রহনের  জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়ি এবং আগরতলা পৌছে চলে যাই কলেজ টিলাতে। সেখানে থাকতেন আমাদের নেতা-কর্মীরা । তাদের সঙ্গে পূর্ব পরিচয় থাকাতে আমাকে পাঠিয়ে দেন মুক্তিযুদ্ধ ক্যাম্পে। সেখানে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা দেয়ার জন্য নিয়মিত গান বাজনা হতো। সেই সাথে থাকতো মুক্তিযুদ্ধের ট্্েরনিং। সেখানেই আমার সাথে দেখা হয় মরমি কন্ঠশিল্পী সর্দ্দার আলাউদ্দিনের। আমি আর আলাউদ্দিন ভাই তখন একসাথেই বিভিন্ন শরনার্থী ক্যাম্পে মুক্তিযুদ্ধের গান করি । একদিন আমরা সিদ্ধান্ত নিলাম যে, কলকাতায় স্বাধীন বাংলা বেতারে চলে যাবো। যেই ভাবা সেই কাজ। দুজনে মিলে একদিন চলে গেলাম আগরতলা ধর্মনগর থেকে ট্রেনে আসাম, দার্জিলিং, শিলং হয়ে কলকাতা এলাম। ইতোমধ্যে সংবাদ পেলাম স্বাধীন বাংলা  বেতার কেন্দ্র কলকাতায় ৫৭/৮, বালীগঞ্জ সার্কুলার রোডে কাজ শুরু  করেছে। অবশেষে যোগদান করলাম আমার গন্তব্যস্থল স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে।

স্বাধীন বাংলা বেতার  কেন্দ্রে যোগাদান  করার পর একজন কন্ঠ সৈনিক হিসেবে সংগীত পবিবেশনই ছিল আমার মূল কাজ। বহু সংগীত পরিবেশন করেছি দীর্ঘ নয় মাসে। এর মধ্যে সমবেত এবং দ্বৈতভাবে সংগীত পরিবেশন করি। স্বাধীন  বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত আমার প্রথম গাওয়া  দ্বৈত সংগীত : কথা : শহীদুল ইসলাম সুর: হরলাল রায়, আমার সহশিল্পী ছিলেন তখনকার ইংরেজী সংবাদ পাঠক,  প্রাক্তন  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস-চেন্সেলার প্রফেসার ড. নাসরিন আহমেদ। গানের কথা: জ্বলছে জ্বলছে প্রাণ, আমার দেশ আমার…….। গানটি স্বধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত হয় ২১শে অক্টোবর ১৯৭১ দ্বিতীয় অধিবেশনে। গানটি শুরুর আগে ঘোষক ঘোষণা করেন- এবার শুনবেন একটি দেশাত্ববোধক গান, দৈত্ব কন্ঠে গেয়েছেন-শিল্পী অরূপরতন চৌধুরী ও নাসরিন আহমদ। গানটি প্রচারের দিন আমার নাম প্রথমবারের মত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ঘোষণা করা হয়। সেই দিন থেকেই বাংলাদেশে থাকা আমার মা, বাবা ও ভাই-বোন জানতে পারে যে, আমি বেঁচে আছি। কারণ,  যুদ্ধে যাবার কথাটি আমি কাউকে বলিনি,  এমনকি আমার মা, বাবা ও ভাই-বোনকেও না। তবে, যুদ্ধে গিয়ে তাদের জন্য আমার অনেক কষ্ট হত, তাছাড়াও দেশে আমার পরিবারের সবাই ছিলেন অনেক দুঃশ্চিন্তায় এবং উৎকণ্ঠায়। কারণ, আমি মুক্তিযুদ্ধে গিয়েছি একথা হানাদার বাহিনী বা রাজাকার আলবদররা জানতে পারলে আমার পরিবারের সদস্যদের উপর আক্রমণ চালাতে পারে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ব্যাপক তাৎপর্যপূর্ণ। বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত যুদ্ধ সংবাদ, সঙ্গীত ও কবিতা, নাটক কথিকা মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস ও প্রেরণা যুগিয়েছে। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সরব উপস্থিতি সেই সংকটকালে সবার জন্য ছিলো নব উদ্দামে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার এবং মনোবল না হারানোর অনুপ্রেরনক। মানুষের আগ্রহ আর ভরসার কেন্দ্রবিন্দু ছিল এই বেতার কেন্দ্র।

সেই সময়ে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে গানগুলো মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে শুধু অনুপ্রাণিত আর উৎসাহিত করে নাই, সেই সাথে যারা বাংলাদেশে ছিলো তাদেরকেও উৎসাহিত করেছে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়তে ও মুক্তিযোদ্ধাদের সাহস্য করতে। গানগুলো এখন নতুন প্রজন্মের কণ্ঠেও ধ্বনিত হয় তাদেরকেও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।

একথা আজ অনস্বীকার্য যে ,স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রটি সৃষ্টি হওয়াতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ অনেক সংগঠিত ও গতিশীল হয়েছিল। স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রটি এদেশের মানুষের জন্য যেমন ছিল একটি আশা-ভরসার স্থান তেমনি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ছিল উৎসাহ আর প্রেরনার স্থান। মুক্তিযুদ্ধের অন্যান্য সেক্টরের মত এই বেতার কেন্দ্রটিও ছিল আর একটি সেকটর , যেখান থেকে মুক্তিযুদ্ধের খবরাখবরই  শুধু  প্রচারিতই হতনা অনেক ক্ষেত্রে মুক্তি যুদ্ধকেও  পরিচালিত করতো  এই স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র। আর এই বেতার কেন্দ্রের একজন  কন্ঠ সৈনিক ছিলাম আমি, যার জন্য নিজেকে গর্বিত মনে করি ।

স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রটির সফলতা ছিল একটি সুন্দর টিম ওয়ার্কের জন্য। অনেক কন্ঠশিল্পী, নাট্যকর্মী, সংবাদ-পাঠক, কলা-কৌশলী এবং সংগঠক তখন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রকে সচল রেখেছেন। যাদের অনেকেই আজ নেই, তাদের সকলের নাম আজ শ্রদ্ধাভরে স্মরন করছি। তবে যারা বেঁচে আছেন তাদের মধ্যে অনেকে আজ অসুস্থ, বিছানায়  শয্যাশায়ী কেউবা নিদারুন অর্থকষ্টে দিন যাপন করছেন। আমাদের এখন প্রয়োজন তাদের পাশে গিয়ে দাড়ানো তাদের জন্য কিছুটা হলেও সাহায্য করা। আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন, আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভূমিকা ছিলো তাৎপর্যপূর্ণ। এই বেতার কেন্দ্রের শব্দ সৈনিকেরা সাড়ে সাত কোটি মুক্তিকামী বাঙালীর মনোবলকে অক্ষুন্ন রাখার জন্য দিবারাত্র কাজ করেছেন। তাদের ক্ষুরধার প্রচার মুক্তিযুদ্ধের গতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে সাহায্য করেছে সর্বাত্মকভাবে। এই বেতার কেন্দ্রের এক একটি শব্দ ইথার ভেদ করে বেরিয়ে এসেছে এক একটি বুলেট হয়ে।

কলকাতার ৫৭/৮ বালীগঞ্জ সার্কুলার রোডে আজও বীরদর্পে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ভবনটি।’ বয়সের ভারে মলিন হয়েছে ভবনের রং, আশে পাশে আরো বড় ভবনের পাশে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের মুল ভবনটিকে ছোট মনে হয়। কিন্তু, আমাদের হৃদয়ে মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা অনন্য এই স্থাপনাটির অবস্থান আজীবন আকাশ সমান!

তবে তরুণ প্রজন্মের কাছে যেন সেই কথা, আমাদের সেই অনুভূতি যেন অব্যক্ত থেকে না যায়। স্বাধীনতা যুদ্ধে এই কেন্দ্রটির অসামান্য অবদান ইতিহাসের আড়ালে যেন চাপা না পড়ে। এজন্য বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে ভবনটির যথাযথ সংরক্ষণ ও মুক্তিযুদ্ধের দলিল হিসেবে একটি যাদুঘরে রুপান্তর করা প্রয়োজন। যাতে আগামী প্রজন্ম মহান মুক্তিযদ্ধে ‘স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্রের’ সঠিক ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারে। ভারত আমাদের বন্ধুপ্রতিম রাষ্ট্র। মুক্তিযুদ্ধের সময়েও ভারতের সহায়তা ছিলো অগ্রগণ্য। তাই ভারত সরকারের কাছ থেকে ভবনটির স্বত্ত্ব প্রয়োজনে কিনে নিয়ে হলেও ইতিহাসসম্বৃদ্ধ ‘স্বাধীনবাংলা বেতার কেন্দ্র’ মুক্তিযদ্ধের স্মারক চিহ্ন হিসেবে সংরক্ষণ এবং একটি যাদুঘরে রুপান্তর এখন সময়ের দাবী। এ বিষয়ে আশু পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

 

__________________________________________________________

লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী,

একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)
সদস্য, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন বোর্ড (স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়) এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটি (স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়)
সাম্মানিক জেষ্ঠ উপদেষ্টা, ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টাল সার্জারী, বারডেম ও অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ
ইমেইল: [email protected]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *