জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই

 

বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী
(একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)

 

বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা’র আওতাভূক্ত দেশসমূহ ১৯৮৭ সাল থেকে ৩১মে দিনটিকে বিশ^ তামাকমুক্ত দিবস হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করছে। সর্বগ্রাসি তামাক নির্মূলের লক্ষ্যে বাংলাদেশেও ১৯৮৮ সালে থেকে দিবসটি পালিত হয়ে আসছে। মূলত, ৯০ এর দশক থেকে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর প্রচেষ্টায় তামাকমুক্ত দিবস পালনসহ তামাক বিরোধী সামাজিক আন্দোলনটি বেগবান হয়।

বর্তমানে তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষয়-ক্ষতি রোধে ‘এফসিটিসি’ এর আলোকে দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন ও সংশ্লিষ্ট বিধি প্রণীত হয়েছে। তামাকজাত দ্রব্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবাণী প্রচলন, তামাকজাত দ্রব্যে ১% হারে স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ আরোপ ও এ সংক্রান্ত নীতি প্রণয়নসহ তামাক নিয়ন্ত্রণে আমাদের উল্লেখযোগ্য কিছু অর্জন রয়েছে। তামাক বিরোধী সকল সংস্থা ও ব্যক্তিকে অনুপ্রাণিত করে এমন কিছু অঙ্গীকার রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হলো মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা। ২০১৬ সালে অনুষ্ঠিত ‘সাউথ এশিয়ান স্পীকার্স সামিটে’ তিনি বলেন, “আমরা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণভাবে নির্মূল করতে চাই।” ঘোষণা বাস্তবায়নে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, দপ্তর, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি উদ্যোগেও বিভিন্নজন নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

Global Adult Tobacco Survey-2017 তে দেখা যায় যে, বাংলাদেশে পনোরোর্ধ্ব বয়সীদের মধ্যে ৩৫.৩% (৩ কোটি ৭৮ লক্ষ) মানুষ তামাকজাত দ্রব্য সেবন করেন। ২০০৯ সালে তামাকসেবী ছিলো ৪৩.৩%। সুতরাং তামাক সেবনের শতকরা হার নিম্নগামী হয়েছে, যা তামাক নিয়ন্ত্রণে কর্মরতদের আশান্বিত করে। পক্ষান্তরে, কিছু প্রতিবন্ধকতা রয়েছে যা তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্খিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের পথে বিঘ্নতা সৃষ্টি করছে। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ প্রতিবেশকে মারাত্নক ক্ষতির সম্মুখীন করছে।

একথা সর্বজন স্বীকৃত যে, জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা এবং সার্বিক উন্নয়নে বড় প্রতিবন্ধকতা হলো ‘তামাক’। তামাক চাষাবাদ, প্রক্রিয়াজাতকরণ ও সেবনসহ প্রতিটি ধাপেই পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা এ বছর বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২২ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করেছে-“Tobacco: Threat to our environment” স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে যার বাংলা ভাবানুবাদ করা হয়েছে- “তামাকমুক্ত পরিবেশ, সুস্বাস্থ্যের বাংলাদেশ।” বর্তমান প্রেক্ষাপটে এর যথার্থতা রয়েছে এবং প্রতিপাদ্যটি অত্যন্ত সময়োপযোগী। কারণ, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবেলা বর্তমান সময়ের অন্যতম বড় আলোচ্য বিষয়। জলবায়ুর নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় বৈশ্বিকভাবে ঐক্যমত গড়ে তোলা হচ্ছে। ভূক্তভোগী এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশও রয়েছে।

এক গবেষণায় দেখা গেছে, তামাকের কারণে ১৯৭০ সাল থেকে বিশ্বব্যাপী (প্রধানত গ্রীষ্মমন্ডলীয়) আনুমানিক ১.৫ বিলিয়ন হেক্টর বন বিলুপ্ত হয়ে গেছে। যা ২০% বার্ষিক গ্রিনহাউস গ্যাস বৃদ্ধির কারণ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে! তামাক চাষে প্রচুর পরিমাণ জমির প্রয়োজন হয় বিধায় বনাঞ্চল ধ্বংস করে চাষাবাদযোগ্য জমি তৈরি করা হয়। তামাক পাতা প্রক্রিয়াজাত করতে চুল্লিতে প্রচুর পরিমাণে কাঠ পোড়ানো হয়। গবেষণার তথ্যমতে, ৩০০টি সিগারেট তৈরি করতে প্রায় একটি সম্পূর্ণ গাছ প্রয়োজন হয়!

তামাক চাষে প্রচুর সার ও কীটনাশক ব্যবহৃত হয় যা মাটি ও পানি দূষণ করে এবং মাছসহ জলাশয়ের উদ্ভিদচক্রের মারাত্নক ক্ষতি করে। উদাহরণ হিসেবে দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজননক্ষেত্র হালদা নদী কথা বলা যায়। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায়, নদীর উৎপত্তিস্থল খাগড়াছড়ি জেলার রামগড়, মানিকছড়ি ও নদীর তীর সংলগ্ন পাহাড়ের ধারে দীর্ঘদিন ধরে তামাক চাষের কারণে তামাকের নির্যাস ও চাষে ব্যবহৃত সার এবং রাসায়নিক মিশ্রিত পানি সরাসরি গিয়ে পড়ছে নদীতে পড়ায় হালদার পানি মারাত্নকভাবে দূষিত হচ্ছে। বর্ষার শুরুতেও পাহাড়ি ঢলের সঙ্গে তামাকের মূল এবং পচা তামাক পাতা গিয়ে পড়ে নদীতে। ঠিক প্রজনন মৌসুমেই বেশি দূষণ হয় বিধায় মৎস উৎপাদন ও অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতির পরিমাণও বাড়ছে। সুতরাং, তামাক চাষ ক্রমান্বয়ে কমিয়ে আনা এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পরে তামাক চাষ সম্পূর্ণ বন্ধ করা অত্যন্ত জরুরি।

উল্লেখ্য যে, জেনেভায় অনুষ্ঠিত এফসিটিসি’র কনফারেন্স অব দ্য পার্টিসে (কপ-৮) বিশেষভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে যে, উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী দেশগুলো অবিলম্বে তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করবে। এফসিটিসি’র অনুচ্ছেদ ১৭ ও ১৮ এ, তামাকের বিকল্প ফসল চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধকরণ এবং সহায়তা প্রদান, তামাক চাষের ক্ষতি থেকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষার্থে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশ উক্ত চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী প্রথম দেশ। সুতরাং উক্ত চুক্তি প্রতিপালনে বাংলাদেশের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। তাছাড়া তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের ১২ ধারায় তামাক উৎপাদন নিয়ন্ত্রণে, বিশেষত: তামাক চাষ নিরুৎসাহিত করতে একটি নীতি প্রণয়নের কথা বলা আছে। যতদুর জানা যায়, একটি খসড়া নীতি প্রণীত হয়েছে। কিন্তু, দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হলেও সেটি চূড়ান্ত হয়নি। সময়ের প্রয়োজনে নীতিটি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।

এছাড়া ‘কৃষি বিপণন আইন, ২০১৮’ আইনের তফসিল ১-এ ১৩ ধরনের কৃষিপণ্যের উল্লেখ রয়েছে। উক্ত তফসিলের (খ) ক্যাটাগরিতে ৪টি অর্থকরী ফসলের মধ্যে ১টি ‘তামাক’ উল্লেখ রয়েছে। প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যপুস্তকেও তামাককে অর্থকরী ফসল হিসেবে পড়ানো হচ্ছে! যা পক্ষান্তরে তামাক চাষকে উৎসাহিত করছে। কৃষি বিপণন আইন ও পাঠ্যপুস্তক থেকে অর্থকরী ফসল হিসেবে তামাক বাদ দেয়া জরুরি।

বাংলাদেশে তামাকজনিত কারণে বিভিন্ন মরণব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে বছরে প্রায় ১ লক্ষ ৬২ হাজার মানুষ মৃত্যুবরণ করে (টোব্যাকো এ্যাটলাস-২০১৮)। অন্যদিকে, করোনা সংক্রমণে বাংলাদেশে প্রাণহানি ঘটেছে ২৯,১২৭ জনের (১৭ মে, ২০২২)। এছাড়াও সড়ক দুর্ঘটনাসহ মৃত্যুর অন্যান্য কারণ তো আছেই। সুতরাং, বিচারিক মানদন্ডে এ কথা নি:সন্দেহে বলা যায়, করোনার চাইতে বড় মহামারি এখন ‘তামাক’!

করোনা ভাইরাস মহামারীতে ‘তামাক নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আবারো নতুনভাবে আলোচনায় এসেছে। ধূমপায়ী/তামাক সেবীদের করোনায় আক্রান্তের ঝুঁকি ১৪গুণ বেশি, জানায় বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা। করোনা মহামারীর শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বিশ^ব্যাপী উক্ত ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রায় ৬২ লাখের বেশি মানুষ মৃত্যুবরণ করেছেন। সংখ্যার হিসেবে এই মৃত্যুর পরিমাণ কম বলার সুযোগ নেই। তবে এর চাইতে ভয়ঙ্কর নিরব মহামারী ‘তামাক’ মানুষের জীবন ও প্রকৃতি-প্রতিবেশের অপূরণীয় ক্ষতি করেই চলেছে। কারণ, বিশে^ প্রতিবছর তামাকজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে ৮০ লক্ষাধিক মানুষ মারা যায়। এদের সিংহভাগই বাংলাদেশের মতো অনুন্নত ও উন্নয়নশীল দেশের জনগণ। কারণ, বহুজাতিক তামাক কোম্পানিগুলো এসব দেশকে ব্যবসার উর্বর ক্ষেত্র ও তাদের জনগণকেই বৃহত্তর ভোক্তা হিসেবে বেছে নেয়। ফলশ্রুতিতে এ সকল দেশে তামাকজনিত রোগ-বালাইয়ের প্রাদুর্ভাব, অপুষ্টি ও মুত্যৃহার, পরিবেশগত, অর্থনৈতিক ক্ষয়-ক্ষতি হ্রাস করা ক্রমেই কঠিন হয়ে পড়ছে।

করোনার চাইতে তামাকের কারণে মৃত্যুহার এবং অন্যান্য ক্ষয়-ক্ষতি বেশি অনেক বেশি! তার পরেও করোনা সংক্রমনের উর্ধ্বগতির দু:সময়েও তামাকজাত দ্রব্য উৎপাদন, বিপণনে কোম্পানিগুলো প্রভাব খাটিয়ে নজীরবিহীন সুবিধা নেয়। গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদে দেখা যায় যে, করোনাকালীন দু:সময়ে উৎপাদন ব্যবস্থায় স্থবীরতার ফলে বিভিন্ন কোম্পানির মুনাফা কমলেও ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো’র মুনাফা বেড়েছে ৫ গুণ! মূলত, তামাক কোম্পানিগুলো অপকৌশল এবং অনেক পুরনো আইন ‘এসেনসিয়াল কম্যুডিটি এ্যাক্ট-১৯৫৬’তে তামাক জরুরি পণ্য থাকা সেই সময়ে এর নেপথ্য অনুঘটকের কাজ করেছে। আইনটি সংস্কার করা জরুরি।

প্রাণঘাতি পণ্য উৎপাদনকারী তামাক কোম্পানিগুলোর প্রভাব বিস্তারের ঘটনা নতুন নয় বরং পৃথিবীর অনেক দেশেই তারা কূট-কৌশলে তাদের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করছে।  বাংলাদেশেও তামাক কোম্পানিগুলোর অনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে জনস্বাস্থ্য ও তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এর নেপথ্যে কাজ করছে তামাক কোম্পানিতে সরকারি শেয়ার। অনেক বছর ধরেই ‘ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো’তে সরকার ও সরকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শেয়ার রয়েছে বর্তমানে যা প্রায় ১০%। এর ফলে সরকারের উচ্চপদস্থ একাধিক কর্মকর্তা বিএটি’র পরিচালনা পর্ষদে প্রতিনিধিত্ব করছেন। বর্তমানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাবেক ও বর্তমান সচিব, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব, আইসিবি’র কর্মকর্তা রয়েছেন। এমনকি বিএটিবি’তে শেয়ার নেই এমন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিকেও তাদের পরিচালনা পর্ষদে প্রতিনিধিত্ব করতে দেখা যাচ্ছে যা তামাক কোম্পানিটি’র একটি সুক্ষ কৌশল! তাছাড়া জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ বিধ্বংসী পণ্যের ব্যবসায় সরকারের অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে অনেক মহলে সরকারের দ্বৈতনীতি হিসেবে দেখা হচ্ছে এবং সরকারের তামাক নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টাকে জনগনের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।

এমনতিইে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বাংলাদেশ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে। এদিকে বিশে^র শীর্ষ ১০টির মধ্যে ১টি অধিক তামাক ব্যবহারকারী জনগণের দেশও ‘বাংলাদেশ’। সুতরাং জনস্বাস্থ্য এবং পরিবেশগত ঝুঁকি মোকাবেলায় কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের বিকল্প নেই। এবং তামাক কোম্পানিগুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার সময় এসেছে। পরিবেশ সুরক্ষার দোহাই দিয়ে প্রবাহ, সামাজিক বনায়নের নামে লোক দেখানো নাটক বন্ধ করতে হবে। তামাকের কারণে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের যে অপূরণীয় ক্ষতি হচ্ছে তা জনসম্মুখে প্রচার ও তার জন্য জবাবদিহি করতে হবে। এজন্য সরকারের নীতিগত অবস্থান আরো সুদৃঢ় করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রক্রিয়াধীন ‘তামাক চাষ নিয়ন্ত্রণ নীতি’ দ্রুত পাস করতে হবে। এছাড়া এফসিটিসিসি’র আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটি আরো শক্তিশালীকরণ, তামাক কোম্পানির প্রভাব প্রতিহতকরণে ‘গাইডলাইন’, ‘জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি’ প্রণয়ন এবং তামাক কোম্পানির সাথে সকল অংশিদারিত্ব বর্জন করতে হবে।

বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের এই অগ্রগতিকে অব্যহত রাখতে আবং আগামী প্রজন্মকে তামাক, মাদকের ছাবল থেকে রক্ষা করতে এবং স্বাস্থ্যকর জীবন-যাপনে উদ্দুদ্ধ করতে তামাক নিয়ন্ত্রন অত্যন্ত জরুরী। সুতরাং তামাকের আগ্রাসন থেকে জনস্বাস্থ্য, পরিবেশ সুরক্ষায় সরকার ও জনগণের ঐকান্তিক প্রচেষ্টার বিকল্প নেই।

__________________________________________________________

লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী,

একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)
সদস্য, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন বোর্ড (স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়) এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটি (স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়)
সাম্মানিক জেষ্ঠ উপদেষ্টা, ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টাল সার্জারী, বারডেম ও অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ
ইমেইল: [email protected]

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *