তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধনী: সময়ের শুভ উদ্যোগ
বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী
(একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)
‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ অধিকতর শক্তিশালীকরণের লক্ষ্যে ২০১৩ সালের পরে আবারো সংশোধন করা হচ্ছে। জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় প্রণীত বিদ্যমান আইনটির দূর্বলতা নিরসনে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল যে উদ্যোগ নিয়েছে তা অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রশংসনীয়। ২০১৩ সালে কিছু সংশোধনী জাতীয় সংসদে গৃহিত হয়েছে। তবুও সময়ের চাহিদা বিবেচনায় উক্ত আইনটির কিছুু ক্ষেত্রে পরিবর্তন অত্যন্ত জরুরি। কেননা, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ২০৪০ সালের মধ্যে ‘তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার ঘোষণা প্রদান করেছেন। সরকারি-বেসরকারি উদ্যোগে ব্যাপক কর্মসূচি পরিচালনা করা হচ্ছে তার এ ঘোষণা বাস্তবায়নের জন্য। সেই উদ্যোগের বড় রসদ এবং প্রধান অস্ত্র হলো ‘ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন’।
বাংলাদেশে ২০০৫ সালে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করা হয়। মূলত, ২০০৩ সালে জেনেভায় অনুষ্ঠিত বৈশি^ক স্বাস্থ্য সম্মেলনে বাংলাদেশ বিশ^ স্বাস্থ্য সংস্থা’র ফ্রেমওয়ার্ক কনভেনশন অন টোব্যাকো কন্ট্রোল (এফসিটিসি) চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। পরবর্তীতে সেটিকে ভিত্তি ধরেই দেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়নের উদ্যোগ নেয়া হয়। ২০০৫ সালে আইনটি প্রণয়নের পরে ১৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে। এর বাস্তবায়নে ধীরগতি স্বত্ত্বেও আইন প্রণয়ন পরবর্তী তামাক বিরোধী সচেতনতা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে, তা নিশ্চিত করেই বলা যায়। অধূমপায়ীরা তামাকের কারণে পরোক্ষভাবে যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, নিজেদের সেই অধিকার নিয়ে তারা প্রতিবাদ করে। ধূমপায়ীরাও নিজেদের আচরণ নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট সচেতন হয়েছে। পাবলিক পরিবহনে ধূমপান কমেছে উল্লেখযোগ্য হারে। যদিও বর্তমানেও যত্র-তত্র অহরহ ধূমপান করতে দেখা যায়। আশাব্যঞ্জক সংবাদ হচ্ছে- গ্লোবাল এডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে-তে ২০০৯ সালের ৪৩.৩% থেকে নেমে ২০১৭ সালে এসে ৩৫.৩% হয়েছে। অর্থাৎ- সার্বিকভাবে তামাক সেবনের হার কমেছে ৮ শতাংশ।
এতদ্বসত্ত্বেও বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষ তামাকের কারণে মৃত্যুবরণ করে। প্রায় ৪ কোটি মানুষ পঙ্গুত্বের শিকার হয়। স্বাস্থ্যখাতে ব্যয় ৩০ হাজার কোটি টাকার বেশি! উপরন্তু, আশঙ্কার বিষয় হলো- তামাক কোম্পানিগুলো বসে নেই। তামাকের ব্যবসা সম্প্রসারণের যত কূট-কৌশল ও অনৈতিক পন্থা রয়েছে, তার সবকিছুই প্রয়োগ করছে আমাদের আগামী প্রজন্মকে তাদের ভোক্তা অর্থাৎ- ধূমপায়ী বানানোর জন্য।
মূলত, বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনে কিছু ক্ষেত্রে ফাঁক-ফোকর থাকার সুযোগ নিচ্ছে তামাক কোম্পানিগুলো। ফলে আইন প্রণয়নে উদ্দেশ্য হাসিল বা সুফল আশান্বিতভাবে পাওয়া যাচ্ছে না। তামাক নিয়ন্ত্রণে কাঙ্খিত লক্ষ্য অর্জনে প্রয়োজন সমন্বয় সাধন এবং প্রতিবন্ধকতাসমূহ দূরীকরণ। প্রতিবন্ধকতা থেকে উত্তোরণের একটি উপায় হচ্ছে- দ্রুততম সময়ের মধ্যে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনটির কিছু ক্ষেত্রে সংশোধনী এনে অধিকতর শক্তিশালী করা। যাতে আইনের কার্যকর বাস্তবায়ন সম্ভবপর হয়।
বাংলাদেশ তরুণের দেশ। বর্তমানে আমাদের ৪৯% জনগোষ্ঠী বয়সে তরুণ। দেশে মোট জনসংখ্যার ৬৬% কর্মক্ষম (প্রায় ১১ কোটি)। এই বৃহৎ জনগোষ্ঠি তামাক কোম্পানি ও মাদক কারবারীদের প্রধান টার্গেট। গবেষণায় দেখা যায়, ৯৫ শতাংশ ধূমপায়ী মাদকের নেশায় ধাবিত হয়, যার সিংহভাগ তরুণ। তামাক কোম্পানিগুলো এই তরুণদেরই তামাকের প্রতি প্রলুব্ধকরণ কর্মকান্ড পরিচালনা করছে কৌশলে, আইন লঙ্ঘণের মাধ্যমে। সেই কৌশলের একটি অংশ হলো যত্র-তত্র তামাকের বিক্রয়কেন্দ্র স্থাপন এবং খালি ও ডামি প্যাকেট দৃষ্টিনন্দনভাবে সাজিয়ে রাখা। ষ্টিকার, ফ্লাইয়ার, ব্র্যান্ডের রং, মূল্য তালিকা প্রদর্শন করেও বিজ্ঞাপন চালায় কোম্পানিগুলো।
আইনের খসড়া সংশোধনীতে (ধারা: ৫) “ক্রেতার নিকট বিক্রয়ের সময় ব্যতীত বিক্রয়স্থলে (ঢ়ড়রহঃ ড়ভ ংধষবং) সকল ধরনের তামাকজাত দ্রব্য বা উহার মোড়ক বা প্যাকেট দৃষ্টির আড়ালে রাখিতে হইবে।” মর্মে প্রস্তাব করা হয়েছে, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রশ্নাতিতভাবে তা চূড়ান্ত করা উচিৎ। কেননা, চোখের আড়াল হলে এসকল ক্ষতিকর পণ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ কমে যাবে। বিশেষত: শিশু-কিশোররা এর থেকে দুরে থাকবে। গবেষণায় দেখা যায়, শিশুদের চোখের সমান উচ্চতায় এবং ক্যান্ডি, খেলনার পাশাপাশি তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শণ তামাক কোম্পানিগুলোর প্রচারণা এবং শিশু-কিশোরদের তামাকে আকৃষ্ট করার কৌশল। আমাদের কিশোর-তরুণদের তামাকের আগ্রাসন থেকে বাঁচাতে এ ধারাটির সংশোধনী অত্যন্ত সহায়ক হতে পারে। এছাড়াও স্কুল-কলেজসহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০০ গজের মধ্যে তামাকজাত দ্রব্যের দোকান না রাখার যে বিধান যুক্ত করা হয়েছে আইনের সংশোধনীতে তা আরেকটি চিন্তাপ্রসূত সিদ্ধান্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণাণলয়ের। ধারা-৬ এ অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তির বয়সসীমা আরো বাড়িয়ে অনধিক ২০ বছর করতে হবে যেন উঠতি বয়সীরা তামাকের ধারে-কাছে না থাকে।
বর্তমানে আরেকটি উদ্বেগের নাম ‘ই-সিগারেট’। আজকাল কিশোর, তরুণরা ই-সিগারেটকে হালের ফ্যাশন হিসেবে গ্রহণ করছে। সিগারেট কোম্পানিগুলোও ভূয়া প্রচারণা চালাচ্ছে যে- ‘ই-সিগারেট তামাক থেকে প্রস্তুতকৃত সিগারেট থেকে কম ক্ষতিকর’। উপরন্তু, তরুণদের আকৃষ্ট করতে বিভিন্ন ফ্লেভার ব্যবহারের মাধ্যমে তামাক কোম্পানি ই-সিগারেটের বাজার বিস্তৃত করছে। তরুণদের মধ্যে দিন দিন ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে ই-সিগারেটের ব্যবহার। ভ্যাপিং পণ্যে নিকোটিন সংযোজন অল্পবয়সিদের মধ্যে নিকোটিন ব্যবহারকে উৎসাহিত করছে।
ই-সিগারেট নেশা উদ্দিপক এবং মাদকাসক্ত করে। এই ক্ষতিকর পণ্য ব্যবহারের মাধ্যমে নিকোটিন আসক্তি জন্মায়, যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। আর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, বাহরাইন, কম্বোডিয়া, মিশর, ইথোপিয়া, জর্ডান, মালেশিয়া, সিঙ্গাপুর, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, ভারতসহ বিশ্বের ৪৭টি দেশ ইলেকট্রনিক নিকোটিন ডেলিভারি সিষ্টেম বা ই-সিগারেট নিষিদ্ধ করেছে। এফসিটিসি’র আর্টিকেল ৫.২-তে এ বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে যা এ সনদে স্বাক্ষরকৃত রাষ্ট্রগুলোর অবশ্য পালনীয়। আমাদের দেশে ই-সিগারেট এর ব্যবহার ভয়াবহ পর্যায়ে যাওয়ার আগেই এটি নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এই গুরুত্ব বিবেচনায় ২০২১ সালে জাতীয় সংসদের ১৫০ জনের অধিক সদস্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে লিখিতভাবে সুপারিশ করেছেন যেন বাংলাদেশে ই-সিগারেট বা ভেপিংয়ের আমদানি, উৎপাদন, বিক্রয়, বিপণন ও ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়। যা অত্যন্ত সময়োপযোগী এবং প্রসংশনীয় উদ্যোগ।
আইনের ধারা-৭ এ পাবলিক প্লেসে ‘ধূমপান জোন’ না রাখার জন্য প্রস্তাবনা এসেছে। আমাদের বিদ্যমান আইনে ‘পাবলিক প্লেস’ ও ‘পাবলিক পরিবহনে’ ধূমপান নিষিদ্ধ। তবে কিছু পাবলিক প্লেস এবং একাধিক কামরাবিশিষ্ট পাবলিক পরিবহনে মালিক/তত্বাবধায়ক দ্বারা ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বা ’উবংরমহধঃবফ ঝসড়শরহম তড়হব’ রাখার কথা আইনে উল্লেখ রয়েছে। বর্তমান সময়ে আমাদের দেশে রেস্টুরেন্টগুলোতে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বেশি চোখে পড়ে। কোম্পানিগুলো স্পন্সরের মাধ্যমেও এগুলো তৈরী করছে বলে জানা যাচ্ছে। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে, এ সকল পাবলিক প্লেসে অনেক মানুষের যাতায়াত। ধূমপানের স্থান তৈরীতে যথাযথ নিয়ম মানা হয় না এবং আচ্ছাদিত ধূমপান এলাকার আশপাশের স্থান বিড়ি-সিগারেটের ধোঁয়ামুক্ত হয় না। এতে অধূমপায়ীরা (বিশেষত: নারী ও শিশুরা) পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।
গ্লোব্যাল এ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভে (গ্যাটস্) ২০১৭ তে দেখা যায়, ৪৯.৭ শতাংশ মানুষ রেস্তোরাঁয় পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হন। কর্মক্ষেত্রে তা ৪২.৭ শতাংশ এবং গণপরিবহনে প্রায় ৪৪ শতাংশ। সংখ্যায় যা প্রায় ৮ কোটি! পরোক্ষ ধূমপান অধূমপায়ীদের হৃদরোগের ঝুঁকি ২৫ – ৩০ শতাংশ বাড়িয়ে দেয়। ফুসফুস ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায় শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ। বিশ্বে ৬৯টি দেশ আচ্ছাদিত পাবলিক প্লেসে ধূমপান সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে। সুতরাং, পাবলিক প্লেস ও পরিবহনসমূহ শতভাগ ধূমপানমুক্ত রাখতে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ নিষিদ্ধ করা সময়ের দাবী।
গাছের গোঁড়া কেটে মাথায় পানি ঢালার সামিল তামাক কোম্পানির ‘সিএসআর’ কার্যক্রম। গরু মেরে জুঁতা দান বৈকি! যে পণ্য বছরে লক্ষাধিক মানুষকে হত্যা করছে, পঙ্গু করছে অজস্র মানুষকে, পরিবেশ-প্রতিবেশ, জনস্বাস্থ্য, অর্থনীতির জন্য যা হুমকিস্বরুপ সেই পণ্যের ব্যবসায়ীরা লোক দেখানো দায়সারা দায়বদ্ধতা সারে তাও আবার ব্যবসায়িক স্বার্থকে সর্বাগ্রে প্রাধান্য দিয়ে! তামাকের ক্ষতি পিছনে রেখে প্রকৃতপক্ষে, ধামাচাঁপা দিতেই তামাক কোম্পানির ‘সিএসআর’। যেমন: তামাক কোম্পানি ‘বনায়ন’ কর্মসূচি করে কিন্তু, তামাকের কারণে দেশে ৩১% বন নিধনের দায় স্বীকার করে না। তামাক চাষের কারণে দেশের পাহাড়ী অঞ্চলে নদ-নদীর পানি দূষিত হচ্ছে, স্তর নেমে যাচ্ছে, জলজ প্রাণ চক্র নষ্ট হচ্ছে তা ধামাচাপা দিতে ‘প্রবাহ’ নামে পানির প্রকল্প নেয় একটি তামাক কোম্পানি। শাঁক দিয়ে মাছ ঢাকা যায় না, তা স্পষ্ট হয়ে ওঠে ‘সিএসআর’ এর নামে কোম্পানিগুলোর ব্রান্ড প্রমোশন, নীতি-নির্ধারকদের সাথে যোগাযোগ এবং তাদেরকে প্রভাবিত করে সুবিধা আদায়ের পায়তাঁরা দেখে। তামাক কোম্পানির সামাজিক দায়বদ্ধতামূলক কর্মসূচি নিষিদ্ধ করে এই অর্থ রাজস্ব আকারে বা অন্য উপায়ে সরকারের কোষাগারে জমা নেয়া উচিত। কোনভাবেই তামাক কোম্পানিকে প্রচারণা ও বিজ্ঞাপন করার সুযোগ দেয়া উচিত নয়। এছাড়াও আরো যত সংশোধনী প্রস্তাব এসেছে সবগুলো যুক্তিযুক্ত এবং অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।
কোভিড মহামারী সামলাতে বহু প্রচেষ্টা দেখেছি, নিজেও সাধ্যমতো করেছি। এবার নীরব মহামারী ‘তামাক’ রুখতে হবে। বিশে^ ৮০ লক্ষাধিক এবং দেশে বছরে ১ লক্ষ ৬১ হাজারের অধিক মানুষের মৃত্যুর কারণ এই তামাকের আগ্রাসন রুখতে না পারলে আগামী প্রজন্মের ভবিষ্যত অন্ধকারাচ্ছন্ন। সেই সাথে বাংলাদেশেরও ভবিষ্যত অনিশ্চিত গন্তব্যে যাত্রা করবে। কারণ, আমাদের আগামীর বাংলাদেশের কর্ণধার আজকের শিশু-কিশোর, তরুণ-যুবারা। যাদেরকে ভোক্তা বানিয়ে অর্থের বানিজ্য উর্ধ্বমূখী করতে চায় তামাক কোম্পানিগুলো। সরকারকে শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। তামাকের ব্যবসায়ীরা আর এ খাতের সামান্য রাজস্ব নয়, জনস্বাস্থ্য এবং আমাদের তরুণরাই প্রাধান্য পাবে সবকিছুর উপরে। প্রাধান্য পাবে মানব জীবনের অন্যতম প্রধান অনুষঙ্গ- পরিবেশ-প্রতিবেশ, যা তামাকে বিষে নীল হতে চলেছে অবলীলায়।
__________________________________________________________
লেখক: বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ড. অরূপরতন চৌধুরী,
একুশে পদকপ্রাপ্ত এবং শব্দ সৈনিক (স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র)
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা (মানস)
সদস্য, জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন বোর্ড (স্বরাষ্ট্র্র মন্ত্রণালয়) এবং জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ টাস্কফোর্স কমিটি (স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়)
সাম্মানিক জেষ্ঠ উপদেষ্টা, ডিপার্টমেন্ট অব ডেন্টাল সার্জারী, বারডেম ও অধ্যাপক, ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ
ইমেইল: [email protected]